এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না। আজ রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা খোলা, আদালতের চূড়ান্ত রায়ের আগে আমার কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত, কোটা আন্দোলনকারীদের দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। এর আগে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে তিনি কোটা বাতিল করেছিলেন।
তিনি বলেন, একবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করেছিল। আন্দোলন তো না সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল। তখন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। তখনই বলেছিলাম যে কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন দেখেন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে?